অনুপম বড়ুয়া টিপু, প্যারিস থেকে :

বৌদ্ধ সম্প্রদায় প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে ৩০ দিন বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে এই কঠিন চীবর দান উৎসব পালন করে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শিল্প-সংস্কৃতি-সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র ফ্রান্সে প্যারিসের অদুরে সেইন্ট ডেনিশস্থ কুশলায়ন বুড্ডিস্ট মেডিটেশন সেন্টারে রবিবার ( ৮ অক্টোবর) দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল পবিত্র সূত্র পাঠের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি কামনায় প্রার্থনা, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, অষ্টপরিস্কার দান, মহতী সংঘদান, ও সদ্ধর্মসভা।

ফ্রান্সস্থ কুশলায়ন বুড্ডিস্ট মেডিটেশন সেন্টারে উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঞ্জীব বড়ুয়ার পঞ্চশীল প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ও তারপর বিহারাধ্যক্ষ শ্রীমৎ জ্যোতিসার ভিক্ষুর উদ্ধোধনী ভাষণ প্রদানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া দানসভায় বহু গ্রন্থ প্রণেতা, পন্ডিত প্রবর ভদন্ত প্রজ্ঞাবংশ মহাথের সভাপতিত্ব করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে দিল্লী, ভারত থেকে ড. কাচ্চায়ন মহাথের উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলাচরণ করেন করুনানন্দ শ্রমন। উদ্বোধনী সংগীতে বরণ বড়ুয়া, তবলায় ছিলেন শাপলু বড়ুয়া। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চৌধুরী সবুজ বড়ুয়া।

বক্তারা বলেন, চীবর দান ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বৌদ্ধদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দান জন্ম জন্মান্তরে সুফল প্রদায়ী। প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে বছরে একবার চীবর দান করা হয়। এ দিন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ গৃহীরা ভিক্ষুসংঘকে চীবর দান করে। ভিক্ষুসংঘও তাদের বিনয়-বিধানের সকল নিয়ম অক্ষুণ্ন রেখে পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে এ চীবর গ্রহণ ও ব্যবহার করে। কঠিন চীবর দানের বহুধা গুণের কথা স্মরণে রেখে প্রত্যেক বৌদ্ধ জীবনে অন্তত একবার হলেও চীবর দান করার মানসিকতা পোষণ করেন।
অনুষ্ঠানে

ফ্রান্সে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক বৌদ্ধধর্মাবলম্বী উপস্থিত ছিলেন।